জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আজ শনিবার সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
শোক ও শ্রদ্ধা
গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওসমান হাদিকে ‘ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের অমর সৈনিক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “হাদির প্রয়াণ দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি।” প্রধান উপদেষ্টা নিহত হাদির পরিবার ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন।
মৃত্যু ও জানাজা
উল্লেখ্য যে, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হলেও গত বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আজকের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে:
- জানাজা: আজ বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
- দাফন: পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
- প্রার্থনা: গতকাল শুক্রবার সারাদেশের মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ওসমান হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, জানাজায় বিপুল জনসমাগমের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ট্রাফিক চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।