বেরিয়ে এলো হাদি হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য!

০ মতামত 3 views

জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের জট খুলতে শুরু করেছে। তদন্তে উঠে এসেছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বা মাস্টারমাইন্ড ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন আহমেদ ওরফে ‘শাহীন চেয়ারম্যান’

তদন্ত অনুযায়ী, জুলাই বিপ্লবে হাদির বলিষ্ঠ ভূমিকা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থানের কারণে আওয়ামী লীগ তাকে তাদের জন্য বড় বিপদ ও ‘হিটলিস্টের’ এক নম্বর টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এই কিলিং মিশন বাস্তবায়নে শাহীন চেয়ারম্যান নিজেই অর্থ ও অস্ত্রের জোগান দেন। এই হত্যাকাণ্ডে তার সহযোগী হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতার নাম পাওয়া গেছে, যার মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ ঘাতকদের ঢাকা থেকে সীমান্ত পর্যন্ত পালিয়ে যেতে সরাসরি সহায়তা করেন বলে জানা গেছে।


শাহীন চেয়ারম্যানের অতীত ও বর্তমান অবস্থান

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত এই শাহীন চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন কেরানীগঞ্জে ‘মাফিয়া ডন’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে একাধিকবার উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়া এই নেতার বিরুদ্ধে আগে থেকেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অসংখ্য অভিযোগ ছিল।

৫ আগস্টের পর তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। সেখান থেকেই বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে দেশে থাকা স্লিপার সেলের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে এই হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়ন করেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রমাণ পেয়েছে।

তদন্তের অগ্রগতি

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ কল ও খুদে বার্তার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে শাহীন চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতা হামিদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া কেরানীগঞ্জের আরও দুইজন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে খুব দ্রুতই এই হত্যাকাণ্ডের পুরো চক্রটিকে জনসমক্ষে আনা সম্ভব হবে।

Leave a Comment