মরণে হাসিবে তুমি, কাঁদিবে ভূবণ!

০ মতামত 10 views

ওসমান হাদী: একটি আদর্শ ও অনুপ্রেরণার নাম

“এমন জীবন করিবে গঠন, মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবণ।” এই বিখ্যাত পঙক্তিটি যেন ওসমান হাদী-র জীবনের এক সার্থক প্রতিফলন। পৃথিবীতে অনেকেই আসেন, কিন্তু খুব কম মানুষই নিজের কর্মের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে এমনভাবে জায়গা করে নিতে পারেন যে, তাঁর চলে যাওয়া পুরো সমাজকে শোকাতুর করে তোলে। ওসমান হাদী ছিলেন তেমনই একজন ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব।

ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর জীবন

ওসমান হাদী-র জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে ছিল সততা, নিষ্ঠা এবং পরোপকারের ছাপ। তিনি কেবল নিজের উন্নতির জন্য ভাবেননি, বরং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য তাঁর দুয়ার ছিল সর্বদা উন্মুক্ত। তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং অমায়িক ব্যবহার তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল।

কর্মই যেখানে পরিচয়

একজন মানুষ অমর হয় তাঁর কর্মের মাধ্যমে। ওসমান হাদী বিশ্বাস করতেন যে, ভোগে নয় বরং ত্যাগেই প্রকৃত আনন্দ। তাঁর পেশাগত জীবন হোক বা সামাজিক কর্মকাণ্ড, সবখানেই তিনি রেখে গেছেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার উদাহরণ। অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর আপসহীন অবস্থান আজও তরুণ প্রজন্মের কাছে এক বড় শিক্ষা।

কেন কাঁদিবে ভূবণ?

আজ ওসমান হাদী আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শগুলো প্রতিটি মানুষের মনে বেঁচে আছে। যখন একজন সৎ মানুষের প্রয়াণ ঘটে, তখন সমাজ এক বিশাল শূন্যতা অনুভব করে। সেই শূন্যতা থেকেই জন্ম নেয় অশ্রু। তিনি মরণের সময় হয়তো এক স্বর্গীয় হাসি হেসে বিদায় নিয়েছেন, কারণ তিনি জানতেন তাঁর অর্জিত ‘সুনাম’ এবং ‘মানুষের দোয়া’ তাঁর সাথে রয়েছে। কিন্তু পৃথিবী হারিয়েছে এক রত্নকে, তাই আজ চারিদিকে বিষাদের ছায়া।

শেষ কথা

ওসমান হাদী-র প্রস্থান আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, জীবন সংক্ষিপ্ত কিন্তু কর্ম অনন্ত। তাঁর দেখানো পথে চলে যদি আমরা আর্তমানবতার সেবা করতে পারি, তবেই তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে। তাঁর আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক এবং তাঁর আদর্শ আমাদের প্রতিটি কাজে প্রেরণা জোগাক।

Leave a Comment