ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল—এমন অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির দাবি, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর ১০৭টি আবেদন বাতিল করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাতিল হওয়া আবেদনগুলোর মধ্যে ছিল কম্বল, শীতের পোশাক, পানির সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। ইসরায়েলের অনুমোদন না পাওয়ায় এসব ত্রাণ এখনো আটকে আছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমাদের অংশীদার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ১০৭টি ত্রাণ পাঠানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে, যার মধ্যে ছিল পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।”
তিনি জানান, প্রত্যাখ্যাত আবেদনগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশ এসেছে ৩৩০টিরও বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে। এর অর্ধেকের বেশি আবেদন বাতিলের কারণ হিসেবে ইসরায়েল জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি নেই।
জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ)–এর তথ্য উদ্ধৃত করে ফারহান হক আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী এখনো মোতায়েন রয়েছে পূর্ব খান ইউনিস, পূর্ব গাজা সিটি ও রাফাহ এলাকায়, যেখানে প্রতিদিনই আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।
তিনি জানান, তথাকথিত ‘ইয়েলো লাইন’ সংলগ্ন এলাকাগুলোতেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। এসব হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে এবং ত্রাণকর্মীদের জীবনও ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র ইসরায়েলি সেনাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, সামরিক অভিযান পরিচালনার সময় বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের দায়িত্ব এবং সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।