তীর এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে সোমবার (১০ নভেম্বর) দ্বিতীয় সেশনে হতাশার দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। কম্পাউন্ড নারী দলগত ইভেন্টের ব্রোঞ্জ পদক নির্ধারণী ম্যাচে শেষ মুহূর্তে ছন্দ হারিয়ে ২২৭-২২৪ পয়েন্টে (৫৪-৫৬, ৫৮-৫৬, ৫৭-৫৭, ৫৫-৫৮) ইরানের কাছে পরাজিত হয় বন্যা আক্তার, কুলসুম আক্তার ও পুষ্পিতা জামানদের দল।
দিনের শুরুটা কিন্তু আশাব্যঞ্জক ছিল বাংলাদেশের জন্য। এলিমিনেশন রাউন্ডে কাজাখস্তানকে ২৩০-২২৬ স্কোরে (৫৭-৫৭, ৫৭-৫৬, ৫৯-৫৮, ৫৮-৫৫) হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছায় তারা। তবে সেমিতে ভারতের বিপক্ষে ২৩৪-২২৭ স্কোরে (৫৮-৫৪, ৫৮-৫৬, ৫৯-৫৮, ৫৯-৫৯) হেরে ব্রোঞ্জ নির্ধারণীতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষটাও হলো না সুখকর—ইরানের কাছে হেরে পদক হাতছাড়া হয়।
ম্যাচ শেষে হতাশ কণ্ঠে বন্যা আক্তার বলেন,
“আমরা শুরুটা ভালো করলে ম্যাচটা জিততে পারতাম। ইরানের সঙ্গে আগেও টিম খেলেছিল, তখন আমি ছিলাম না। এবার জেতার লক্ষ্য ছিল, কিন্তু পারিনি। বাতাস ছিল, তবে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। চাপও ছিল না। আনন্দ নিয়েই খেলছিলাম, সবাইকে বলেছিলাম মেডেল নেবো আমরা, কিন্তু পারিনি।”
সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে দলের প্রতি নিজের দায়িত্বের কথাও উল্লেখ করেন তিনি—
“আমি সিনিয়র হিসেবে খেলছি, দায়িত্বও বেশি। টিমমেটদের সাপোর্ট দিতে হয় যাতে স্নায়ুচাপে ভেঙে না পড়ে। এর আগে এশিয়া কাপে আমরা ফাইনালে উঠেছিলাম। আজ ব্রোঞ্জ নির্ধারণীতে হারলাম। পরের ম্যাচে লক্ষ্য থাকবে যে ভুলে হেরেছি, তা যেন না হয়। আজ আমাদের দুর্বল জায়গা ছিল শুরুটা। এককে ভালো খেললে আশা করছি পদক জিতব।”
এই জয়ের মাধ্যমে চলতি আসরে নিজেদের প্রথম পদক নিশ্চিত করেছে ইরান। কম্পাউন্ড নারী বিভাগের ফাইনাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে মুখোমুখি হবে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া।
অন্যদিকে, রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টেও একই গল্প—ভালো শুরু, কিন্তু হতাশাজনক শেষ। সাগর ইসলাম, রাকিব মিয়া ও রাম কৃষ্ণ সাহাকে নিয়ে গড়া দলটি এলিমিনেশন রাউন্ডে ভিয়েতনামকে ৬-০ সেট পয়েন্টে (৫৫-৫২, ৫৩-৫২, ৫৬-৫২) হারালেও সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৫-৩ সেট পয়েন্টে (৫৩-৫৩, ৫৫-৫৩, ৫৪-৫৯, ৫৪-৫৬) পরাজিত হয়।
রিকার্ভ পুরুষ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জয় করে উজবেকিস্তান, যারা কাজাখস্তানকে ৫-৩ সেট পয়েন্টে (৫৬-৬০, ৫৭-৫৪, ৫৩-৫৩, ৫৭-৫৬) হারায়। এ ইভেন্টের স্বর্ণপদক লড়াই শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে।