২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ইউরোপ থেকে সর্বশেষ দল হিসেবে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস তাদের খেলার যোগ্যতা নিশ্চিত করেছে। এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে খেলতে যোগ্যতা অর্জন করেছে মোট ৩৪টি দল, বাকি ১৪টি স্থানের জন্য লড়াই এখনও চলছে।
শিরোপাধারী আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, ফ্রান্স ও পর্তুগালসহ শক্তিশালী দলগুলো ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছে অংশগ্রহণ। এবারের আসরে নতুন হিসেবে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে কেপ ভার্দে, জর্দান ও উজবেকিস্তান।
আজ (১৮ নভেম্বর) ইউরোপীয় অঞ্চলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। স্কটল্যান্ড মুখোমুখি হবে ডেনমার্কের, আর অস্ট্রিয়া লড়বে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচের বিজয়ী দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাবে।
গ্রুপ ‘জে’-এর শীর্ষে থাকা ওয়েলসের এখনো ক্ষীণ আশা বেঁচে আছে। তারা বিশ্বকাপে খেলতে হলে উত্তর ম্যাসেডোনিয়াকে হারাতে হবে এবং অন্যদিকে লিখটেনস্টাইনের কাছে বেলজিয়ামের হারের অপেক্ষা করতে হবে। সুইজারল্যান্ড ও স্পেনের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত, যদি না শেষ ম্যাচে তারা বড় ব্যবধানে হারে।
অন্যান্য অঞ্চলে স্বাগতিক দেশ হিসেবে কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশ নিচ্ছে। এশিয়া অঞ্চল থেকে যোগ্যতা অর্জন করেছে অস্ট্রেলিয়া, ইরান, জাপান, জর্দান, কাতার, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া ও উজবেকিস্তান। ওশেনিয়ার একমাত্র স্থান পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
আফ্রিকা থেকে প্রথম যোগ্যতা অর্জনকারী দুই দল হলো তিউনিসিয়া ও মরক্কো। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আলজেরিয়া, কেপ ভার্দে, মিশর, ঘানা, আইভরি কোস্ট ও সেনেগাল। ২০১০ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে যোগ্যতা অর্জন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ছাড়াও ব্রাজিল, ইকুয়েডর, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে ও কলম্বিয়া নিশ্চিত করেছে অংশগ্রহণ।
প্লে-অফের মাধ্যমে বিশ্বকাপে খেলার আশা রাখছে বলিভিয়া, নিউ ক্যালেডোনিয়া ও ডিআর কঙ্গো, যারা আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে অংশগ্রহণ করবে।