চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সিটি গ্রুপের বিক্রয়কর্মী রুহুল আমিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছেন তিন উপজেলার আতঙ্ক রফিকুল ইসলাম রবিন ওরফে রবিন ডাকাত। বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে চাঁদপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসোইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালতে রবিন সাবলিলভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার র্যাব-১১ রবিনকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ তাকে আদালতে পাঠানোর পর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
রবিনের স্বীকারোক্তিতে বলা হয়, গত ১১ নভেম্বর রাতে রুস্তুমপুর এলাকায় তিনি ও তার সহযোগী বিক্রয়কর্মী রুহুল আমিনকে গতিরোধ করে নগদ টাকা ও পণ্য ছিনতাই করেন। রুহুল আমিন তাদের পিছু নিলে, রুস্তুমপুর এলাকার রাস্তার ওপর তাকে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন। অস্ত্রটি তার সহযোগী পারভেজের কাছ থেকে নেয়া হয়। ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান, পরে র্যাব-১১ তাকে গ্রেফতার করে।
রবিন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার চান্দিরগাঁও গ্রামের হাজী শামসুন নুর পটোয়ারীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে হত্যাসহ বেশিরভাগ ডাকাতি ও দস্যুতার।
নিহত রুহুল আমিন (৩৭) ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব বড়ালি গ্রামের মিজি বাড়ির অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মাওলানা মাহমুদুল হাসানের ছেলে। তিনি সিটি গ্রুপের বেঙ্গল পণ্যের এসআর হিসেবে কাজ করছিলেন।
র্যাব-১১ গত ১৮ নভেম্বর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকা থেকে রবিনকে গ্রেফতার করে।