ভারতীয় দূতাবাসের পাশের সড়ক এখন ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’: বিজয় দিবসে নামফলক উন্মোচন

০ মতামত 8 views

রাজধানীর গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত—ভারতীয় দূতাবাসের পাশের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বিকেলে সড়কটির নামফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ সীমান্ত হত্যা বন্ধ চায়। আমাদের বোন ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় জীবন দিয়েছিল। তাঁর প্রতি যে নৃশংসতা হয়েছিল, তা যেন আমরা ভুলে না যাই—তা প্রতিদিন স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সড়কের নামকরণ। আমরা বিশ্ববিবেকের কাছে তুলে ধরছি যে, বাংলাদেশের সীমান্তে কী জঘন্য পরিস্থিতি বিরাজ করছে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ফেলানীর নামে এই রাস্তাটি আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রতীক। এটি মনে করিয়ে দেবে যে, আমরা প্রতিবেশীসহ যেকোনো দেশের সাথে নিজের সম্মান বজায় রেখে কথা বলব।”

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, পূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যানসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। স্থানীয় সরকার সচিব উল্লেখ করেন, ফেলানী হত্যা নিছক কোনো হত্যাকাণ্ড নয়, বরং এটি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

প্রেক্ষাপট: ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান ১৫ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানী খাতুন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কাঁটাতারে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা ঝুলে থাকা তাঁর নিথর দেহ দেশ-বিদেশের বিবেককে নাড়া দিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সংগঠন গুলশানের এই সড়কটি ফেলানীর নামে করার দাবি জানিয়ে আসছিল। অবশেষে অন্তর্বর্তী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে সড়কটির নাম ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ করল।

Leave a Comment